সুস্থ জীবনের সেরা অভ্যাস—সঠিকভাবে হাঁটার নিয়ম জানুন!
সুস্থ জীবনের সেরা অভ্যাস—সঠিকভাবে হাঁটার নিয়ম জানুন!
MD. Razib Ali
নিজস্ব প্রতিবেদক: আপনি কি জানেন, প্রতিদিন মাত্র ৩০ মিনিট হাঁটলেই শরীর ও মন উভয়ই সুস্থ থাকতে পারে? ব্যস্ত জীবনে আলাদা করে ব্যায়ামের সময় বের করা কঠিন, কিন্তু হাঁটা এমন এক অভ্যাস, যা সহজেই দৈনন্দিন রুটিনে যুক্ত করা যায়। তবে হাঁটারও কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে, যা অনুসরণ করলে আপনি পাবেন সর্বোচ্চ উপকারিতা।
হাঁটার সঠিক কৌশল
নিয়মিত হাঁটার উপকার পেতে গেলে সঠিক পদ্ধতিতে হাঁটতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ৩০ মিনিট হাঁটলে ...
নিজস্ব প্রতিবেদক: আপনি কি জানেন, প্রতিদিন মাত্র ৩০ মিনিট হাঁটলেই শরীর ও মন উভয়ই সুস্থ থাকতে পারে? ব্যস্ত জীবনে আলাদা করে ব্যায়ামের সময় বের করা কঠিন, কিন্তু হাঁটা এমন এক অভ্যাস, যা সহজেই দৈনন্দিন রুটিনে যুক্ত করা যায়। তবে হাঁটারও কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে, যা অনুসরণ করলে আপনি পাবেন সর্বোচ্চ উপকারিতা।
হাঁটার সঠিক কৌশল
নিয়মিত হাঁটার উপকার পেতে গেলে সঠিক পদ্ধতিতে হাঁটতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ৩০ মিনিট হাঁটলে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত হয়। কিন্তু কীভাবে হাঁটবেন?
৩ ধাপে কার্যকর হাঁটার নিয়ম:
প্রথম ১০ মিনিট: ধীরে ধীরে হাঁটা শুরু করুন, শরীরকে প্রস্তুত করুন (ওয়ার্মআপ)।
পরবর্তী ১০ মিনিট: গতি বাড়িয়ে দ্রুত হাঁটুন, যাতে শ্বাসপ্রশ্বাস দ্রুত হয় ও হৃদস্পন্দন বাড়ে।
আরও পড়ুন:
সুস্থ থাকার জন্য সঠিক পদ্ধতিতে ব্যায়াম করুন: জেনে নিন কীভাবে শুরু করবেন
শরীরচর্চার আগে ও পরে কী খাবেন? সেরা টিপস ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য তালিকা
কখন ব্যায়াম করবেন, কখন নয়: বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
শেষ ১০ মিনিট: ধীরগতিতে হাঁটুন, শরীরকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনুন (স্লো ডাউন)।
নিয়মিত হাঁটার অসাধারণ উপকারিতা
নিয়মিত ৩০ মিনিট হাঁটলে—
ক্যালরি বার্ন হয়, ফলে ওজন কমে।
হার্ট ও ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত হয়।
রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
টাইপ-২ ডায়াবেটিস ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমে।
মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা হ্রাস পায়।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায় ও মস্তিষ্ক সতেজ থাকে।
কোন সময়ে হাঁটা সবচেয়ে ভালো?
প্রতিদিনের কোন সময় হাঁটলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন?
ভোরবেলা: মন শান্ত হয়, সারাদিন ফুরফুরে লাগে।
সকাল ৮টা-১০টা: হজম শক্তি বাড়ে, সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
বিকেল/রাত: ওজন কমাতে ও ঘুমের মান উন্নত করতে সহায়ক।
সতর্কতা: কারা হাঁটার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন?
হাঁপানি রোগীরা হাঁটার আগে ইনহেলার নিতে পারেন।
তীব্র রক্তশূন্যতা, মাথা ঘোরা বা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে সাবধান থাকুন।
ডায়াবেটিক রোগীরা হাঁটার আগে হালকা খাবার (বিস্কুট/বাদাম) খেতে পারেন, যাতে ব্লাড সুগার হঠাৎ কমে না যায়।
যাঁদের একটানা হাঁটা সম্ভব নয়, তাঁদের জন্য সমাধান!
যাঁরা একটানা ৩০ মিনিট হাঁটতে পারেন না, তাঁরা মাইক্রো ওয়াকিং পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। অর্থাৎ, দিনে কয়েকবার ৫-১০ মিনিট করে হাঁটলেও একই উপকারিতা পাওয়া যায়।
শুধু ওজন কমানোর জন্য নয়, বরং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য হাঁটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হাঁটুন নিয়ম মেনে, থাকুন সুস্থ ও সতেজ! তাহলে আজ থেকেই কি আপনি হাঁটার অভ্যাস শুরু করছেন?
মো: রাজিব আলী/
Comments
Post a Comment