ফেরি নিয়ে লুকোচুরি: পারের অপেক্ষায় ২৫ হাজার মানুষ

রাতে খোলা আর দিনে বন্ধ রাখা হচ্ছে ফেরি। এই লুকোচুরির খেলার ভুক্তভোগী হচ্ছেন দেশের দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার যাত্রী। শিমুলিয়া ঘাটে ঈদ উপলক্ষ্যে বাড়ি ফেরা মানুষদের সামাল দিতে বেশ হিমশিম খাচ্ছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
যতই সময় গড়াচ্ছে ততই যাত্রীর চাপ বাড়ছে শিমুলিয়া ঘাটে। রোববার (০৯ মে) ঘাটে বিজিবি মোতায়েন হলেও যাত্রীদের থামানো যায়নি। ফেরি ছাড়াও তারা ভিন্ন পন্থায় পার হচ্ছেন পদ্মা।
কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে দিনের বেলা ফেরি চলাচল বন্ধের। কিন্তু যাত্রীরা আসছেই। কেউ জেলে নৌকা, ট্রলার আবার কেউ বালুবাহী বাল্কহেড দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হচ্ছেন। বর্তমানে ২৫ হাজারের মতো যাত্রী ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় শিমুলিয়া ঘাটে অপেক্ষায় রয়েছেন।
এর মধ্যে মাওয়া নৌ পুলিশের আইসি মো. সিরাজুল কবীর জানান, অবৈধভাবে ট্রলার দিয়ে যাত্রী পারাপারের কারণে মাঝ পদ্মায় ১৮টি ট্রলার আটক করেছে মাওয়া নৌ পুলিশ। তাদেরকে মোবাইল কোটের মাধ্যমে জরিমানা আদায় করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বাকি সব যাত্রীরা ফেরি পারের অপেক্ষায় শিমুলিয়া ঘাটে পল্টনে, বাসস্ট্যান্ডে, যাত্রী ছাউনিসহ বিভিন্ন যায়গায় অবস্থান নেয়।
দিনে ফেরি বন্ধ থাকলেও লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি ওষুধ ও কাঁচামালবাহী ট্রাক পারাপারের জন্য ৬টি ফেরি চলার অনুমতি দেন বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বাংলাবাজার থেকে ফেরি গুলো কিছু যাত্রী ও পরিবহনসহ ছেড়ে আসে। শিমুলিয়া ঘাটে রাত সাড়ে ৯টায় আসার কথা থাকলেও যাত্রীদের চাপে ফেরিগুলো ভিড়তে পারছে না। শিমুলিয়া ঘাটের অদূরে নদীতে নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে।
নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক ও অতিরিক্ত দায়িত্ব সহকারী বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন জানান, মাওয়া ঘাটে বর্তমানে প্রায় ২৫ হাজারের মত যাত্রী রয়েছে পারের অপেক্ষায়। মাইকিং করে সারাদিন ফেরি বন্ধের ঘোষণা দিলেও যাত্রীরা ঘাট ছাড়ছেন না।
তিনি আরও জানান, যাত্রীদের ধারণা রাতে ফেরি চলাচল বহাল থাকবে, আর এই সুযোগে তারা পার হবেন। এই অপেক্ষায় দিনভর যাত্রীরা শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীরা জমায়েত হতে থাকেন সব বাধা উপেক্ষা করে।
বার্তা বাজার/এসজে
Comments
Post a Comment